৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান প্রথম স্থান অর্জন করেছেন এবং সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নেয় “১২তম ফেল”।
বলিউড তারকা শাহরুখ খান এই প্রথম জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার জিতেছেন তারই অভিনীত ব্লক বাস্টার হিট ছবি জওয়ান এর জন্য, যেখানে তিনি তিন দশক ধরে বলিউড এ রাজত্ব করেছেন সেখানে এই প্রথম কোনো জাতীয় পুরস্কার পেলেন। অন্যদিকে , রানি মুখার্জি তার বিখ্যাত চলচিত্র “মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে”-তে তার অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ্ত সেন। অপরদিকে বিক্রান্ত ম্যাসি তার হিট বায়োপিক “১২থ ফেল” এর অভিনয়ের জন্য শাহরুখ খান এর সাথে সেরা অভিনেতার আসন পেয়েছেন।
শাহরুখ খান এর আগে বহু ভালো ভালো ছবি যেমন, ‘স্বদেশ’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘মাই নেম ইজ খান’,’রাব নে বানা দি জোরি ‘, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘চাক দে ইন্ডিয়া’, ‘বীর জারা’, সহ বহু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া কিং খান এর অভিনীত আরো তিনটি সিনেমা ‘জওয়ান’,‘পাঠান’, ও ‘ডানকি’ বক্স অফিসে সফলতা তো পেয়িছে উপরন্তু বিপুল অংকের বিজনেস এনে দিয়েছে, যা প্রযোজক দেরও অনেক লাভ এর মুখ দেখিয়েছিলো । বিশেষ করে জওয়ান ২০২৩ সালে আনুমানিক ১১৬০ কোটি টাকার বিজনেস করেছে আর তার সাথে ব্যাপক হারে সাফল্য লাভ করেছে।
২০২৬ সালে শাহরুখ খান এর আরো একটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে যার নাম ‘কিং ‘, বর্তমানে এই ছবির শুটিং চলছে, যা একটি একশন থ্রিলার হবে ।
অপরদিকে বলা যায়, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দুটি পুরষ্কার জিতেছে, যার মধ্যে সুদীপ্ত সেন পেয়েছেন সেরা পরিচালকের পুরষ্কার এবং প্রশান্তনু মহাপাত্র পেয়েছেন সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরষ্কার, যা একটি বিতর্কিত চলচিত্র বলা যেতে পারে। কিন্তু এটা বলা যায় যে এত বিতর্কের মাঝেও ছবিটি খুবই সুন্দর বানিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
পুক্কলম ছবিতে অভিনয়ের জন্য বিজয়রাঘবন সেরা সহ-অভিনেতার পুরষ্কার পেয়েছেন যা তিনি, মুথুপেত্তাই সোমু ভাস্করের সাথে তামিল ছবি ‘পার্কিং’-এর জন্য ভাগ করে নিয়েছেন, যা খুবই উল্লেখযোগ্য বলা যেতে পারে।
নিউ দিল্লির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। আমরা সকলে জানি যে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সম্মান হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, যা দেখার জন্য দেশে এবং বিদেশে সকল ভারতীয়রা অপেক্ষা করে থাকেন, আর তাই ভারত সরকারও এর শ্রেষ্ঠত্ব উদযাপনের জন্য প্রতি বছর চলচ্চিত্র নির্মাণে এই পুরস্কার প্রদান করে থাকেন।
বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কাঠামো নির্মাণ এবং অভিনয়ের দক্ষতা বিচার বিশ্লেষণ করে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা অত্যন্ত সম্মানজনক।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার তাদের নিরপেক্ষ এবং যোগ্যতা-ভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য পরিচিত। পূর্ববর্তী বছর, ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে, কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড (সিবিএফসি) যোগ্য চলচ্চিত্রগুলিকে সার্টিফিকেট দেয়।
দেখা গেলো উৎপল দত্ত সেরা চলচ্চিত্র সমালোচক নির্বাচিত হয়েছেন, এবং মারাঠি ছবি ‘নাল ২’ সেরা শিশু ছবির পুরস্কার পেয়েছে ।